ইয়েমেনি শিশুদের হত্যাকারী সৌদি জোটের বোমাটি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি
ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সৌদি জোটের যে বোমা হামলায় স্কুল পড়ুয়া ৪০ ইয়েমেনি শিশু প্রাণ হারিয়েছিল সেই হামলায় ব্যবহৃত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বোমা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সংগ্রহ করা ছবি ও ভিডিও দেখে অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হয়েছেন, বোমাটি মার্কিন শীর্ষ অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনের তৈরি। ৫০০ পাউন্ড ওজনের বোমাটি ছিল লেজার নিয়ন্ত্রিত এমকে ৮২। ওবামা লেজার নিয়ন্ত্রিত সামরিক সরঞ্জাম সৌদি আরবের কাছে বিক্রি বন্ধ করে দিলেও, ট্রাম্পের আমলে তা আবার চালু হয়েছে। স্কুল বাসে আঘাত হানা বোমাটি আগের কয়েকটি নৃশংস ঘটনায় ব্যবহৃত বোমার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে একটি শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালিয়েছিল। এতে নিহত হয়েছিলেন ১৫৫ জন। ওই ঘটনায় সৌদি আরব দায় স্বীকার করে নিয়ে বলেছিল, ভুল তথ্যের কারণে হামলাটি ঘটেছে। ওই বছরেরই মার্চ মাসে সৌদি জোটের বিমান হামলা হয় একটি ইয়েমেনের একটি বাজারে। ওই হামলায় প্রাণ হারান ৯৭ জন ইয়েমেনি। এসব হামলায় ব্যবহৃতত হয়েছিল প্রিসিশন গাইডেড এমকে ৮৪ বোমা। শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে সৌদি হামলার পর বরাক ওবামার সরকার সৌদি আরবের কাছে লেজার মানবাধিকার প্রশ্নে লেজার গাইডেড সামরিক প্রযুক্তি সৌদি আরবের কাছে বিক্রি নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু ২০১৭ সালের মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন আবার সৌদি আরবেরর কাছে লেজার গাইডেড বোমা বিক্রির অনুমতি দেন। এমন পরিস্থিতিতে মানবাধিকার সংস্থাগুলো প্রশ্ন তুলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের আদৌ কোনও নৈতিক দায়দায়িত্ব আছে, না কি নেই।
যুক্তরাষ্ট্র এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলেছে, ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট কোন লক্ষ্যে বোমা ফেলবে সে সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র দেয় না। তবে তাদের অস্ত্র ও কিছু গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র! সিএনএন লিখেছে, সৌদি বিমানগুলো ইয়েমেনে হামলা চালানোর সময় মার্কিন জ¦ালানিবাহী বিমান থেকেই তেল সংগ্রহ করে।